আইভী রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার
আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব এক শান্তি সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমান গুরুতর আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আইভী রহমানের ১১তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে তার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ ও মোনাজাত।
এ ছাড়াও এই দিন বাদ আছর, আইভী কনকর্ড টাওয়ার, বাড়ি-২২, সড়ক-১০৮, গুলশান-২ এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমার শুভাকাঙ্খিদের শরিক হওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দলের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই আক্রমণ সংগঠিত হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন বৃদ্ধিতে ভীত হয়ে তদানীন্তন বিএনপি-জামাত জোট সরকার এই নৃশংস আক্রমণে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দান করে।
এই নৃশংস হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী ঘাতকদের নিষ্ঠুর আক্রমণে আত্মহুতি দেন। আহত হয়েছিলেন অগণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রোববার এক বিবৃতিতে আইভী রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একে/আরআইপি