আবারো ঢাকাই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী


প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

সেই ১৯৮৭ সালে ‘অবিচার’ চলচ্চিত্রে নায়িকা রোজিনার বিপরীতে অভিনয় করেন ফাটাকেষ্ট খ্যাত মিঠুন চক্রবর্তী। এটাই ছিলো বাংলাদেশি ছবিতে তার প্রথম কাজ। তারপর বেশি কয়েকবার তিনি এপারের ছবির পর্দায় হাজির হয়েছেন। সম্প্রতি আবারো তিনি নতুন একটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন।

‘জন্মভূমি’ নামের এই ছবিতে দেখা যাবে দেশভাগের গল্প। যেখানে মিঠুন এই ভাগাভাগিতে বিরোধিতা করেন। ছবিটির পরিচালক রাশিদ পলাশ জানান, মূলত ছবির গল্পের মতোই মিঠুন চক্রবর্তীর বাস্তব জীবন। তিনি বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলের ছেলে। দেশ ভাগের সময় পরিবারের সঙ্গে বরিশাল ছেড়ে চলে যান ভারতে। সে কারণেই ঢাকার ছবি ‘জন্মভূমি’র প্রধান চরিত্রের জন্য চুড়ান্ত করা হলো মিঠুন চক্রবর্তীকে।

যৌথ পরিচালনার এ ছবির অন্য পরিচালক হলেন হাসান জাকীর। তিনি এর চিত্রনাট্যও তৈরি করেছেন।

রাশিদ পলাশ আরো বলেন, ‘ছবিটির গল্পে ৪৫ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত দুই বাংলায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হবে। মজার তথ্য হলো মিঠুন দা’র ডাক নাম গৌরাঙ্গ। আর এই ছবিতে তিনি অভিনয়ও করছেন গৌরাঙ্গ সেন চরিত্রে।  বেশকিছুদিন আগে মিঠুন দাকে আমরা চিত্রনাট্য পাঠিয়ে ছিলাম। এরপর অনেকদিন কোনও ধরনের সাড়া পাচ্ছিলাম না। কিন্তু দাদা গত শনিবার চূড়ান্ত সম্মতি জানিয়েছেন আমাদের। বলেছেন- এই ছবির গল্পের সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে আছে। ছবিটি আমি করছি।’

ছবিটির ৭০ ভাগ শ্যুটিং হবে ভারতের বেঙ্গালুরে আর বাকী অংশ বাংলাদেশে। এ বছরের ডিসেম্বরের দিকে কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানালেন পরিচালকদ্বয়।

প্রসঙ্গত, ছবির গল্পে দেখা যাবে, ১৯৪৭ সালের কথা। মিঠুন চক্রবর্তী তখন তুখোড় বাম রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিক। যার চিন্তা চেতনায় সর্বক্ষণ ছিল বাংলাকে ঘিরে। দেশ তথা বাংলা (ঢাকা-কলকাতা) রক্ষার জন্যে তিনি সবকিছু করতে প্রস্তুত। কিন্তু এরমধ্যেই দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে মিঠুনের পরিবারের সবাই তৎকালিন পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) ছেড়ে চলে যান কলকাতায়। কিন্তু তার মনে একটাই প্রশ্ন, ‘কেন নিজের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে? এ দেশতো আমারই। কেন একটা বাংলা ভেঙ্গে দুই ভাগ হলো?’ শুরু হয় বিভক্ত বাংলাকে ঘিরে মিঠুনের বিপ্লব।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।