মিনু কারাগারে : মিলনের জামিন
নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
অপরদিকে, একই আদালত রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল হক মিলনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। গত তিন দিন আগে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এরপর কারাফটক থেকে তাকে ফের আটক করে পুলিশ।
বিএনপি নেতা মিলনের আইনজীবী রইসুল ইসলাম জানান, গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাফটক থেকে তাকে ফের আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ১ মার্চ বোয়ালিয়া মডেল থানায় সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরো জানান, ওই মামলায় রোববার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি আদালতে অবস্থান করছেন। জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছালে তাকে সেখান থেকে মুক্তি দেয়া হবে।
অপরদিকে, পুলিশের দায়ের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় কারাগার থেকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুকে। কিন্তু জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় হাজিরা শেষে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আইনজীবী রইসুল।
তিনি আরো জানান, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় ৩১ মে ও ২৬ জুন উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতার দুটি মামলায় জামিন পান তিনি। এরপর ২৬ জুলাই বোয়ালিয়া মডেল থানার দুইটি ও মতিহার থানার একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০ আগস্ট এই দুই মামলায় উচ্চ আাদলতের জামিনে কারাগার থেকে বের হলে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।
শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/আরআইপি