১৫৫ বস্তা চোরাই রাসায়নিক উদ্ধার, গ্রেফতার ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৯

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে কাভার্ডভ্যানে করে আমদানিকৃত দ্রব্যের একটি চালান খাতুনগঞ্জে পাঠানোর সময় চুরি হওয়া ১৫৫ বস্তা মালামাল উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইসব দ্রব্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন থেকে আমদানি করেছিল চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরচক্রের ১০ সদস্যকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৬ জানুয়ারি) দিনভর অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পঙ্কজ দাশ (৫১), মো. হোসেন (২৬), সজল দেব (৪১), মো. সালাউদ্দিন (২২), আব্দুল মান্নান (৩৪), মো. রাশেদ (৩৬), মো. সেন্টু হাওলাদার (২৯), মো. আবু সুফিয়ান প্রকাশ রুবেল, মো. ফারুক (৩৫) ও মো. আলমগীর প্রকাশ লিটন (৩৫)।

উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি চায়না থেকে তাইওয়ান হোয়াইট ব্রান্ডের তিন হাজার ৫৯৪ ব্যাগ সিবিসি রেজিন (রাসায়নিক) আমদানি করে রাফি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। গত ১ জানুয়ারি নগরের উত্তর পতেঙ্গা কাঠগড় এলাকার পুরাতন এয়ারপোর্ট রোডের একটি গোডাউন থেকে সেসব আমদানি পণ্য সাতটি কাভার্ডভ্যানে করে আমদানিকারকের ফ্যাক্টরির উদ্দেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সাতটি কাভার্ডভ্যানের মধ্যে দুটি কাভার্ডভ্যান থেকে যথাক্রমে ৭৫ ব্যাগ ও ৮০ ব্যাগ মালামাল কম পাওয়া যায়।’

‘এ ঘটনায় গতকাল (৫ জানুয়ারি) ওই মালামাল পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ‘মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি’র ম্যানেজার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত গাড়িচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুই চালক মো. সালাউদ্দিন (২২) ও আব্দুল মান্নানকে (৩৪) গ্রেফতার করে,’ বলেন মোস্তাইন হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার দুই চালক পুলিশের কাছে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা জানায়- চোরাই মালামালগুলো তাদের সর্দার সেন্টুর কাছে আছে। পরে সর্দার সেন্টুকে আটক করা হলে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রিংকু সেন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ‘জননী পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিড’ নামের দোকানের গোডাউন থেকে চোরাই ১৫৫ ব্যাগ রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই পণ্য গুদামজাতকরণের অভিযোগে পঙ্কজ দাশ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।’

গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার চোরচক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন আমদানি ও রফতানি পণ্যের চালান থেকে চুরি করে আসছিল। দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।