এক সপ্তাহের মধ্যে শপথ নিতে পারেন শেখ হাসিনা

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। এছাড়া পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে হ্যাট্রিক প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রী চারবার দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন, যা রেকর্ড।

দলীয় সূত্র জানায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন শেখ হাসিনা।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বেসরকারি ফলাফলের হিসাবে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ২৫৯টি আসনে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগ।

দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চারবারের প্রধানমন্ত্রী।

মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জাপা) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি আসন পেয়ে সংসদে বিরোধী দল হিসেবে বসতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যার বিচারে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ১৯৯৬ সালে। ওই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় বিএনপির কাছে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।

এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যদিও আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সরকারের মেয়াদ রয়েছে।

এফএইচএস/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।