মনের ভেতর যত কষ্টই থাকুক হাসি মুখে কথা বলুন


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

‘মনের ভেতর যত কষ্টই থাকুক হাসি মুখে কথা বলুন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ পরিবর্তনে নেমেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে বড় বড় অধ্যাপক যখন যার সঙ্গে দেখা হচ্ছে তখনই তিনি  শ্লোগানটি যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

আচরণ পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ডাক্তার ও নার্সদের অ্যাপ্রোন পরিধান করা, ছোট বড় সবার ভাল ব্যবহার করা, রোগীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা, ভর্তি রোগীদের তিন বেলা ওষুধ খাইয়ে দেয়া, রোগীদের সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা, হাসপাতাল চত্ত্বরে হৈ-চৈ না করা ও জোরে কথা না বলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উপাচার্য।

ব্যক্তিগতভাবে সকল শ্রেণির শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে একাধিকবার পৃথক বৈঠক করে তাদের সমস্যা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। বিনিময়ে আচরণ পরিবর্তন করার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য বলেন, হাসপাতালের সার্বিক মানোন্নয়নে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্সসহ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরি। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে।

আচরণগত সমস্যা দূর হলে হাসপাতালের শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার সার্বিক পরিবেশ উন্নত হবে বলে মনে করেন তিনি।
 
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, সাধারণ রোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হাসপাতালে প্রবেশ করতে গিয়েই তারা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার পান। নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে কোনোভাবেই রোগী বা  তাদের স্বজনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। বিপদে না পড়লে কেউ হাসপাতালে আসেন না এটা তাদের বুঝতে হবে। কেউ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও পাল্টা খারাপ ব্যবহার না করে বুঝিয়ে সমস্যা সমাধান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডাক্তার ও নার্সদের রোগীদের সাথে যথাসম্ভব  হাসি মুখে কথা বলতে হবে। অনেকের মনে নানা কারণে কষ্ট থাকতেই পারে। কিন্তু হাসপাতালে এসে সেই  কষ্ট ভুলে থেকে হাসিমুখে থাকতে হবে। নার্সরা একটু হাসিমুখে কথা বলে ওষুধটা রোগীদের খাইয়ে দিলে অসুখ এমনিতেই অনেকটা ভাল হয়ে যাবে। এ সব নিশ্চিত করতে  বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানদের নজরদারি বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, শ্লোগানটা শুনতে যতটা ভাল লাগে বাস্তবায়ন হয়তো ততটা সহজ হবে না। দীর্ঘদিনের আচরণগত অভ্যাস চর্চার মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে। এ লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আচরণ পরিবর্তন হলে গোটা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তার বিশ্বাস।

এমইউ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।