ভোটার স্লিপ সংগ্রহে নির্বাচনী ক্যাম্পে ভিড়
বিকেল পৌনে ৫টা। আজিমপুর নতুন পল্টন লাইন ইরাকি মাঠে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাজি সেলিমের নির্বাচনী ক্যাম্পে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী ও তার মেয়ে।
রাত পোহালেই ভোট। অথচ এখনও ভোটার স্লিপ হাতে পাননি। ক্যাম্পে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকা এক তরুণ জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও জন্ম তারিখ দেখে দু’জনের হাতে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিলেন। তাতে ভোটার নাম্বার ও কেন্দ্র নতুন পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ লেখা রয়েছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই ভদ্রমহিলা জানালেন, আগে যে বাসায় ছিলেন সে বাসার ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রে লিখেছিলেন। বাসা বদল করায় ভোটার স্লিপ পাননি।
নির্বাচনকে উৎসব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ কাল সকালে এসে মা ও মেয়ে দু’জনেই ভোট দিয়ে যাব।’
শুধু এ দু’জনই নন, বাসা বদলসহ বিভিন্ন কারণে অনেকেই ভোটার নাম্বার ও কেন্দ্র জানতে নির্বাচনী ক্যাম্পে ভিড় করছেন বলে জানালেন ক্যাম্পে দায়িত্বরত তরুণরা।
তারা জানালেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের (ভোটার এলাকা নম্বর ১৪৮৯) মোট ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৩৩৮। এরমধ্যে ৩ হাজার ৯৭৪ জন পুরুষ ও অবশিষ্ট নারী।
যুবকরা জানালেন, ভোটার নাম্বার ও কেন্দ্র জানতে অনেকেই ক্যাম্পে ভিড় জমাচ্ছেন। ভোটারদের সুবিধার্থে তারা কম্পিউটারে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ও ভোটার তালিকা দেখে জানিয়ে দিচ্ছেন। নতুন পল্টন লাইন এলাকায় হাজি সেলিমের তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা গেলেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মোস্তফা মোহসীন মন্টুর কোনো ক্যাম্প দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশ দিয়ে তাদের নানা ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন। এ কারণে তারা ক্যাম্প করতে পারেননি। তারা কৌশলে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের ভোটারদের ভোটার নাম্বার সংগ্রহ করছেন। ভোটাররা ভোট দেয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে কাল ভোট বিপ্লব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওই নেতা।
জানা গেছে, শুধু ঢাকা-৭ আসনেই নয়; রাজধানীর বিভিন্ন সংসদীয় এলাকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটার নাম্বার ও কেন্দ্র জানতে শনিবার দিনভর ভিড় করেছেন হাজার হাজার ভোটার।
এমইউ/এনডিএস/পিআর