স্বীকৃতি পেলেন সিস্টার হেলেন


প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন দেশের আলোচিত নারী সিস্টার হেলেন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী হলে গবেষণা ধর্মী সংগঠন ‘সাম্পান’ এর উদ্যোগে তাকে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. হামিদা হোসেন সিস্টার হেলেন এর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জেনারেল এম সাখওয়াত হোসেন, সমাজ বিজ্ঞানী হাবিবুর রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষারসহ অনেকে।

এদিন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সাম্পান’ এর উদ্যোগে ‘নারী কূল নির্যাতিত : ক্ষমতায়ণ অনেক দূর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে সাপ্তাহিক কাগজ।

সভায় দেশের গুণী ব্যক্তিবর্গ আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাপ্তাহিক কাগজ এর সম্পাদক জব্বার হোসেন।

সভায় সমাজ বিজ্ঞানী হাবিবুর রহমান বলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন সমাজ বিজ্ঞানী হিসেবে বলতে চাই, আমরা নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারছি না।

সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, সমাজের শিক্ষিত মানুষগুলোকে এই জন্য সচেতনতামূলক উদ্যোগে বড় ধরনের ভুমিকা রাখতে হবে।

সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি বলেছেন, আমরা আয়োজন ভালো করেই সারতে পারি। কিন্তু ঘরে ফিরেই সব বড় উদ্যোগগুলো ভুলে যাই।

শিক্ষাবিদ হোসনে আরা ইদ্রিস বলেছেন, যে ছেলে সন্তান তার মায়ের মূল্য দেয়, তারই উচিত হবে নিজের ঘরের স্ত্রীকে সম্মান দেয়া।

আব্দুন নূর তুষার বলেন, নারীকে মৌলিক ভাবনা করতে হবে।  

ব্রি. জেনারেল এম সাখওয়াত হোসেন বলেন, মজার বিষয় হলো দেশের ক্ষমতায় থাকছেন দুই প্রভাবশালী নারী বর্তমান ও সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারাও পুরুষতান্ত্রিকতা হতে বের হওয়ার আসল চিন্তা করেন নাই।  

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. হামিদা হোসেন বলেন, জীবনটা কষ্টের হয়, যখন একই সমাজে বৈষম্য ঘটতে থাকে। নারী এগুচ্ছে কিন্তু কোথাও যেন একটা বাঁধা। সম অধিকার নিশ্চিত না করতে পারলে ভালো কিছু আর হচ্ছে কোথায়! তবু শিক্ষিত নারী সমাজই বদলাবে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট।

সম্মাননা নিয়ে সিস্টার হেলেন আবেগে আপ্লতু হয়ে পড়েন। তিনি শুধু অবাক হয়ে চেয়ে ছিলেন অতিথিদের দিকে।

এমএএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।