অনিয়ম ঠেকাতে ঢামেকে বসছে ব্যাংকের বুথ


প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

আর্থিক অনিয়ম ঠেকাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বসছে ব্যাংকের বুথ। সরকারি অর্থ লেনদেনে অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে হাসপাতালের চিকিৎসাবাবদ সকল অর্থ এখন থেকে বুথের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন রোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢামেকে রোগীদের খরচ বাবদ  সমূদয় অর্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে আদায় হতো। পরবর্তীতে সেই অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হতো।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের রোগীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ এক শ্রেণির অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী সুকৌশলে তছরুপ করছে। শুধু তাই নয়, নানা টালবাহানায় টাকা নিজেদের কাছে রেখে বিলম্বে জমা দেয়ার মাধ্যমে অপব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছিল। বিগত দুই তিন বছরে এ ধরনের কার্মকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ জারিসহ লঘু দণ্ড দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঢামেক হাসপাতালের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, সরকারি অর্থ লেনদেনে অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যই হাসপাতালের ভিতরেই ব্যাংকের একাধিক বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে রোগীরা হাসপাতালের চিকিৎসাবাবদ সকল প্রকার অর্থ (টিকেট, ভর্তি, বেড, পরীক্ষানিরীক্ষাসহ অন্যান্য ফি) সরাসরি ব্যাংক বুথের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন।

তারা জানান, ঢামেক  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বুথ খোলার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে। হাসপাতাল অভ্যন্তরে বুথ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেনের কাজ শুরু হতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে মোট পাঁচটি (বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, বেড ভাড়া আদায় কক্ষ, হাসপাতাল-২ ও রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগ) বুথ স্থাপিত হবে। এ নিয়ে ঢামেক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূবালী ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এদিকে শনিবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, হাসপাতালের নীচতলায় প্রশাসনিক ব্লকের শেষ প্রান্তে যে কক্ষটিতে বিগত বছরগুলোতে  কেবিন বরাদ্দবাবদ টাকা আদায় হতো সে কক্ষটিতে ব্যাংকের বুথ স্থাপনের কাজ চলছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাজিমুননেছা সেখানে দাঁড়িয়ে কাজ দেখছেন।

বুথ স্থাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. নাজিমুননেছা বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের মাসিক আয় গড়ে দেড় থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেনে অধিকতর স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের বুথ স্থাপিত হলে হাসপাতালের আয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।