‘নির্বাচনী পরিবেশ অতীতের চেয়ে ভালো’
বর্তমানে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ অতীতের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেছেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা মানুষের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে নির্বাচন হবে বাঙালি জাতির জন্য স্মরণীয় অধ্যায়।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলার ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের নির্বাহী পরিচালক আবেদ আলী। এ সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠন ও ২৬ এনজিও সংস্থার সম্মিলিত মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
দেশে বিরাজমান নির্বাচন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে আবেদ আলী বলেন, ‘বিষয়টি সাংবাদিকরাই ভালো বলতে পারবেন। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তুলনায় দেশের সাংবাদিকরাই পারেন সঠিক চিত্র তুলে ধরতে। কারণ বিদেশিরা নির্ভর করেন আমাদের দেশের বিভিন্ন মিডিয়া এবং তাদের নিয়োজিত এজেন্টদের ওপর।’ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন।
এবার নির্বাচনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের তত্ত্বাবধানে ৩১টি সংগঠনের প্রায় পৌনে আট হাজার পর্যবেক্ষককে ২১৪টি সংসদীয় আসনে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আগামী সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট আন্তরিক এবং সচেতন। এ জন্যই ইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এদের অনুমতি দেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্য করতে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ১৬টি দেশের ১৭৮টি বিদেশি পর্যবেক্ষককে নিবাচন পর্যবেক্ষণ করার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ১০ জন। এরা হলেন কানাডার লেবার মার্কেট প্ল্যানিংয়ের সিনিয়র পলিসি এনালাইসিস্ট তানিয়া দেওয়ান পস্টার ও মানবাধিকারকর্মী চ্যালি দেওয়ান পস্টার, মালেশিয়ার মাইক্রফস চেনজিং লাইভসের প্রজেক্ট ডিরেক্টর হারতিনি বিনতিয়া জাব্বার ও মালেশিয়ার হিউম্যান এইড অ্যান্ড রিলিফের চেয়ারম্যান জেসমি আজাহারী বিন জোহারী, নেপাল কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হাকিকুল্লাহ মুসলিম, সাবেক সংসদ সদস্য নাজির মিয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদীন আলী, কলকাতা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য ও কলকাতা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. গৌতম ঘোষ, শ্রীলংকার সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রতিনিধি লেখক, গবেষক মোহাম্মদ এহসান ইকবাল।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘সেবক’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান মো. বাবুল, হাইলাইট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সাহিদুল ইসলাম, সেবকের সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এইউএ/এসআর/এমকেএইচ
