আন্তর্জাতিক বাজারে বছরের সবচেয়ে বেশি দরপতন
চীনের অর্থনীতির শ্লথগতির সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। দিনশেষে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের দরপতন হয়েছে তিন শতাংশেরও বেশি। ইউরোপ আর এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
লন্ডন শেয়ারবাজারে জন্য এই বছরের সবচেয়ে বেশি লোকসান ও মন্দার দিন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে এই শুক্রবারটিকে। লন্ডনের ফাইনান্সিয়াল টাইমস স্টক এক্সচেঞ্জ এর সূচক বলছে, গত সোমবারের পর থেকে বাজার পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি।
ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের বিনিময় মূল্য হ্রাস করার পর থেকেই এই পতন শুরু হয়। চীনের মত বিশাল দেশের বিরাট অর্থবাজারের মন্দাদশা এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্য সব বড় বাজারের জন্যও।
বিবিসির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক রবার্ট পেস্টন বলেন, পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে দেখা দিয়েছে ধীর গতি, হয়তো এটি বিপজ্জনকভাবেই ধীর। জাপানও খুব ভালো অবস্থায় নেই। ফ্রান্সেও চিত্রটা খারাপ হয়ে আসছে।
তিনি বলছেন, ইউরোজোনের ছবিটা যতটা আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ। আর ব্রাজিলের মতন উদীয়মান অর্থবাজারও ইতোমধ্যেই টানাপোড়েনে পড়েছে।
চীনা অর্থবাজারের প্রভাবে মার্কিন শেয়ারের দাম পড়েছে শতকরা তিনভাগেরও বেশি। দেশটির ডো জোন্স ইনডেক্স-এর সূচক বলছে, গত চার বছরের মধ্যেই তাদের জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ।
অনেক জায়গায় তেলের চাহিদা ও দামও কমে গেছে। তবে, স্বর্ণের দাম কিছুটা বেড়েছে। এই অবস্থায়, ২০০৮-এর অর্থ সংকট মনে করে অনেকেই আশংকা করতে শুরু করেছেন যে, আরেকটা বিশ্ব মন্দা এলো কিনা?
এসএইচএস/এমএস