বানান ভুলের ভুলভুলাইয়ায় স্মৃতি


প্রকাশিত: ০২:২৯ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

বানান ভুলের ভুলভুলাইয়ায় পড়ে গেলেন ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে এ বিতর্ক একটা নতুন সংযোজন।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর বানান যিনি ভুল ধরেছেন তিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা। ছত্তিসগড় রাজ্যের ওই শিক্ষিকার নাম রিচা কুমার। এতদিন তিনি শিক্ষার্থীদের ভুল ধরেছেন। এবার ভুল ধরলেন খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি লেটারহেডে। ফলে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়লেন স্মৃতি ইরানি-সহ মোদি সরকারের পুরো মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি দেশটির শিক্ষক-শিক্ষিদের সমাজ গঠনের ভূমিকার প্রশংসা করে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন (শিক্ষা) মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অনেকের মতোই সেই চিঠি পৌঁছায় ছত্তিসগড়ের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা রিচা কুমারের কাছেও। প্রথমে চিঠি পেয়ে খুশিই হয়েছিলেন রিচা। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখতেই শিক্ষিকার চোখে পড়ে মন্ত্রীর লেটারহেডে ইংরেজিতে ‘মিনিস্টার’ এবং হিন্দিতে ‘সংসাধন’ (সম্পদ) বানান দু’টি ভুল রয়েছে।

ভুলে ভরা চিঠিটি ফেসবুকে দিয়ে একটি পোস্টে রিচা প্রথমে নিজের ২০ বছরের শিক্ষকতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারপর স্মৃতির উদ্দেশে লেখেন, ‘একজন ভাষা শিক্ষিকা হিসেবে আপনার ওই লেটারহেডটি আমার কাছে অপমানজনক। সঙ্গের ছবিটি (চিঠিটি) আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করছে। মন্ত্রণালয়ে আপনার অধীনে শিক্ষিত ব্যক্তিরাই যেন কাজ করেন সেটুকু আপনি নিশ্চিত করুন।’

বিষয়টি সামনে আসায় তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর জবাব চায় মন্ত্রণালয়। তবে বিতর্ক এড়াতে পারেনি। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকেই স্মৃতিকে টুইট করে ব্যঙ্গ করেন অনেকেই। স্মৃতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কটাক্ষ করা শুরু হয়।

পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন স্মৃতি স্বয়ং। সৌরভ রায় নামে এক ব্যক্তির টুইটের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে সংস্থা লেটারহেডের বিষয়টির জন্য দায়বদ্ধ, তাদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’ পরে মন্ত্রণালয় সূত্রেও জানানো হয়েছে, কোন ভাবে ওই সিরিজের লেটারহেডে ‘মিনিস্টার’ ও ‘সংসাধন’ (সম্পদ) বানানে ভুল থেকে গেছে। তা সংশোধন করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে এ বিষয়ে জবাবও চাওয়া হয়েছে।

এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।