হজ নিয়ে হযবরল অবস্থা, সচিবের বিরুদ্ধে মিছিল


প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

এবার হজ্জ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এখনো কাটেনি ভিসা জটিলতা। হাজার হাজার হজযাত্রীর যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। ভিসা জটিলতা, হজ ফ্লাইট সিডিউল বিপর্যয়, কোটা বঞ্চিত হজ অ্যাজেন্সির বার-কোড জটিলতা সবমিলে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

শুক্রবার সকাল থেকেই অসন্তোষে বিক্ষুব্ধ ছিল আশকোনার হজ ক্যাম্প এলাকা। ধর্ম সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসানের বিরুদ্ধে এবারের হজ নিয়ে অন্তহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছেন কোটা বঞ্চিত হজ অ্যাজেন্সির মালিকরা। বেলা ১১টা থেকে জুমা নামাজ পর্যন্ত আশকোনা হজ ক্যাম্পের সামনে অ্যাজেন্সির মালিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ অ্যাজেন্সি মালিকরা সচিবের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বেশ কিছু হজযাত্রী অ্যাজেন্সি মালিকদের সঙ্গে যোগ দেন এবং শ্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব ও অসাধু অ্যাজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের অনিয়মের অভিযোগ করেছেন হজযাত্রী কল্যাণ সংস্থা। সংগঠনের চেয়ারম্যান এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৪ সালে ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ সালের জন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ১০ হাজার ও বেসকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করতে পারবেন বলে জানিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা নির্দেশনায় হজ অ্যাজেন্টদের আগে মোয়াল্লেম ফি জমা ও পরবর্তীতে হজযাত্রী নিবন্ধন করা হবে বলে জানানো হয়। মোয়াল্লেম ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল ২০১৫ সালের ১ মার্চ। অথচ কোন কারণ ছাড়াই ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরুর কথাটি। ওইদিন সন্ধ্যায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরদিন ২০ তারিখ ছিল শুক্রবার। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরদিন ২২ তারিখ নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা যায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়ে গেছে।

মুজিবুল হক শুক্কুর বলেন, ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বন্ধ থাকার সুযোগে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, যুগ্ম সচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম ও কিছু অসাধু অ্যাজেন্সি মালিকদের যোগসাজশে ভুয়া হজযাত্রী নিবন্ধন করে দিয়েছেন। এতে জটিলতা প্রকোট আকার ধারণ করে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।

আরএম/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।