অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ ও চলমান মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে আবারও নৌকা মার্কায় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের প্রার্থী পরিচিতি সভায় ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এই আহ্বান জানান। ঢাকার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আগামীতে ক্ষমতায় এলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালুসহ চট্টগ্রাম জেলাজুড়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই চট্টগ্রামে উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও ভোট দিতে চট্টগ্রামবাসী নৌকার প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শুরু করেছি। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালু করা হবে, যাতে দ্রুত মানুষ যাতায়াত করতে পারে। শুধু চট্টগ্রাম নগর নয়, পুরো বিভাগ ও চট্টগ্রাম জেলাজুড়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চারলেন রাস্তা করে দিয়েছি। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে একটি ইপিজেড হবে। চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট করে দিয়েছিলাম। এয়ারপোর্টের উন্নয়ন করব। শুধু চট্টগ্রাম মহানগর নয় পুরো চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। পোর্টের উন্নয়ন কাজ করেছি। বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। আর এসব উন্নয়নকাজ করতে হলে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে গেলে এখন আর আমাদের গরিব, খরা, জলোচ্ছ্বাসের দেশ বলা হয় না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। দুর্নীতিবাজ, বিদেশে টাকা পাচারকারী ও এতিমদের টাকা আত্মসাতকারীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম ১৬ আসনের প্রার্থীদের একে একে পরিচয় করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ১২ আউলিয়ায় চট্টগ্রামে সকলের দোয়া নিয়ে প্রার্থীদের আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে বলেন।
প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৭ ড. হাছান মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী মঈন উদ্দিন খান বাদল।
লালদীঘি ময়দানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) প্রার্থী জাপা নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-পাহাড়তলী) প্রার্থী ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১১ আ.লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) প্রার্থী দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) প্রার্থী মইনুদ্দীন খান বাদল, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা।
আরও ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।
আবু আজাদ/জেডএ/জেআইএম