শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় কার্যালয় অপসারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
সুপ্রীম কোর্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অপসারিত হচ্ছে কি হচ্ছে না তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। বিজ্ঞ আদালত ১৮ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলেও এখন পর্যন্তও শিশু একাডেমি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়নি। আদালত থেকেও তাদের উচ্ছেদে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি শেষ পর্যন্ত হয়তো একাডেমির প্রধান কার্যালয় অপসারিত নাও হতে পারে। হাজার হাজার কোমলমতি শিশুর কথা চিন্তা করে বিজ্ঞ আদালত সিদ্ধান্ত বদল করতে পারেন। এ ব্যাপারে মহিলা ও শিশু বিষয়কমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে সে ব্যাপারে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি বলে তারা মন্তব্য করেছেন।
এদিকে শুক্রবার সকালে শিশু অভিভাবক ও সংগঠক ফোরামের ব্যানারে শত শত শিশু ও তাদের অভিভাবকরা একাডেমিক প্রাঙ্গন থেকে মৌণ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে যায় এবং সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। সবার আগে শিশু, শিশুদের আপন আঙ্গিনা থেকে উৎখাত করবেন না, সবার আগে শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত নাগরিক, শিশু একাডেমির আঙ্গিনায়, শিশু জাদুঘর ও শিশু লাইব্রেরি কোথায় পাবো, শিশুদের জন্য একটু ভাবুন, তাদের প্রাণের জায়গা তাদের ফিরিয়ে দিন ইত্যাদি নানা ধরনের ব্যানার ও পোষ্টার হাতে মানববন্ধনে ছোট ছোট শিশুরা দাড়িয়ে ছিল।
তবলার শিক্ষক অভিজিত সরকার অপু জানান, গত কয়েক সপ্তাহ যাবত শিশু ও তাদের অভিভাবকরা শিশু একাডেমিক অন্যত্র সরিয়ে আনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে দাবি জানাচ্ছে। সরকারের শীর্ষ মহল শিশুদের প্রতি দয়াশীল হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কাজল রহমান নামে একজন অভিভাবক জানান, শিশু একাডেমিতে সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, গীটার, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিশু অধ্যয়ন করছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলে অসংখ্য শিশুর মেধার বিকাশে মারাত্বকভাবে ব্যাঘাত ঘটবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রায় সাড়ে তিন একর জমির মালিকানা নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট ও একাডেমি কর্তৃপক্ষের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে রিট ও পাল্টা রিট মামলা চলছিল। সর্বশেষ রায়ে জমির মালিকানা সুপ্রীমকোর্টের পক্ষে যাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত শিশু একাডেমিক কর্তৃপক্ষকে। ১৮ আগস্টের মধ্যে এ এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। জানা যায়, নিরাপত্তার স্বার্থ ও সুপ্রীম কোর্টে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যেই শিশু একাডেমি এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এমইউ/আরএস/এমএস