বিমানে স্থায়ী হচ্ছেন অস্থায়ীরা


প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৫

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। এই আনন্দের পেছনে বিশেষ কারণও রয়েছে। বিশেষ কারণটি হচ্ছে, দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকা কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন।

বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে  গড়া এক স্বপ্নের ফসল। বঙ্গবন্ধু শাহদাৎ বরণের পর নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়েছে এই সংস্থাটিকে। যে কারণে জনবল কাঠামো পরিবর্তন করে এতদিন বিমানের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের কোনো সুযোগই ছিল না।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৩৪শ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করা হয়েছিল। ক্রমাগত লোকসানের কারণে স্থায়ী পদে কোনো জনবল নিয়োগ করার সুযোগ ছিল না। এখন বিমানের জনবল সাড়ে ৪ হাজারের মতো। এদিকে কাঙ্ক্ষিত অর্গানোগ্রাম তৈরির কাজও প্রায় চূড়ান্ত। আগামী ২-১ মাসের মধ্যে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই অস্থায়ী পদগুলোর স্থায়ীকরণ করা হবে।

এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সবার প্রতি সুবিচার ও সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়েছি বলেই আইন ভেঙে অস্থায়ী কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এটা কেউ করেননি।

একজন অস্থায়ী কর্মচারী ২৫-৩০ বছর ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছে এটা অমানবিক উল্লেখ আরো কয়েকদিন ধৈর্য ধরে কাজ করার জন্য কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন অর্গানোগ্রামের কাজ শেষ পর্যায়ে। অর্গানোগ্রাম হলেই ১২’শ অস্থায়ী পদ স্থায়ী করা হবে।

একই অনুষ্ঠানে বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমান শোকের আলোচনার পাশাপাশি বিমান শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো সমাধানের জোর দাবি জানান। এ সময় ইতিবাচক আশ্বাস দেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও।

জামাল উদ্দিনের এ আশ্বাসের পর গত ২৫-৩০ বছর ধরে অস্থায়ী কর্মচারীদের লালিত স্বপ্ন প্রাণ ফিরে পেলো।

কর্মচারীরা বলছেন, এই একটি কাজের জন্য বঙ্গবন্ধুর পর চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনও বাংলাদেশ বিমানের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

আরএম/এসকেডি/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।