মা, তোমার পেটের পাথর অপারেশন করাবো
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় মাদারীপুরের আহত ৩ জনসহ নিহত ৪ পরিবারের সদস্যরা ভালো নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চানপট্টি গ্রামের যুবলীগ নেতা নিহত লিটন মুন্সির বাড়ি গেলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। এসময় লিটন মুন্সির মা আছিয়া বেগম, বাবা আইয়ুব আলী মুন্সি, বোন ইসমতআরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে মা আছিয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আমার বাবা (ছেলে লিটন মুন্সি) বলেছিলো, মা তোমার পেটের পাথর অপারেশন করে আনবো। মাত্র ১০ দিন অপেক্ষা করো। নয় দিনের মাথায় বাবা লাশ হয়ে ফিরেছে। শুধু লিটন মুন্সিই নয় ওইদিন মাদারীপুরের আরও তিনজন নিহত হন।
তারা হলেন, শ্রমিক লীগ নেতা নাসিরউদ্দিন। তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের রামপোল গ্রামে। গ্রেনেড হামলায় নিহত অপর যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে কালা সেন্টু। তার বাড়ি কালকিনি উপজেলার ক্রোকিরচর গ্রামে।
নিহত সেন্টুর স্ত্রী আইরিন পারভীন জাগো নিউজকে বলেন, ওকে হারিয়ে আমরা পথে বসে গেছি। খেয়ে না খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছি।
গ্রেনেড হামলায় অন্যদের মধ্যে নিহত সুফিয়া বেগমের বাড়ি রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের মহিষমারি
গ্রামে।
অপরদিকে কালকিনি পৌরসভার বিভাগদী গ্রামের মোহাম্মাদ আলী হাওলাদারের ছেলে হালান হাওলাদারের একটি পা গ্রেনেড হামলায় নষ্ট হয়ে গেছে। সারা জীবন পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাকে।
কালকিনির ঝাউতলা গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে সাইদুল হক সরদার শরীরে স্পিলিন্টার নিয়ে যন্ত্রণাকর জীবন-যাপন করছেন।
আজও আহত প্রত্যেকের স্মৃতিতে সেদিনের নারকীয় দৃশ্য আতঙ্ক হয়ে আছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/পিআর