২১ আগস্ট মামলার শীর্ষ ৬ সাক্ষীই মারা গেছেন
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রত্যক্ষদর্শী চারজন সাক্ষী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক এবং ঢাকার মেয়র মো. হানিফ।
শীর্ষ এই চার নেতা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন রেলওয়ে সুপার মার্কেটের দায়োয়ান গোলাম কাজী। মারা যাওয়া অপর সাক্ষী হলেন দলীয় কর্মী বিউটি নিজাম।
মামলা চলাকালীন বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে শীর্ষ চার নেতাসহ মোট ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী মারা গেছেন বলে জাগো নিউজকে জানান আইনজীবী মো. আকরাম উদ্দিন শ্যামল।
মামলার প্রধান প্রসিকিউটর রেজাউর রহমান বলেন, মামলায় ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট একশত ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছে আদালত। আগামীতে আরো সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. আকরাম উদ্দিন শ্যামল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান সাক্ষী হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন সেই গ্রেনেড হামলায়৷ আহত হন পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ৷
সেই পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য) প্রয়াত জিল্লুর রহমান, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকার সাবেক মেয়র (প্রয়াত) মো. হানিফ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মাহমুদুর রহমান মান্না, আবদুর রহমান, আখতারুজ্জামান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট রহমত আলীসহ ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে অনেকে কিছুটা সুস্থ হলেও পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন অধিকাংশ ব্যক্তি। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের। দেহে অসংখ্য ঘাতক স্প্লিন্টারের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তারা। তাদের মধ্যে অনেকেই এই মামলার সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন।
এফএইচ/এসকেডি/একে/পিআর