ডাক্তার অথবা শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম : প্রধানমন্ত্রী
তরুণদের করা প্রশ্ন ছোটবেলায় আপনি কী হতে চেয়েছিলেন? জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার খুব শখ ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু অংকে খুব ভালো ছিলাম না। যে কারণে নবম শ্রেণিতে গিয়ে মানবিক বিভাগে ভর্তি হলাম। তখনই ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।’
‘এরপরে মনে করলাম লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষক হবো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবো এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দেবো। সেটাও হয়নি।’
পূর্বে ধারণকৃত তরুণদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিটিভি, মাছরাঙা টিভি, আরটিভি ও ডিবিসি নিউজে ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো জীবনকে উৎসর্গ করেছি দেশের মানুষের জন্য। যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে ততক্ষণ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমি মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমাই। বাকি সমস্ত সময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করি।’
স্বাস্থ্য ঠিক রাখা প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত নামাজ পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাচলা করি। আসলে গণভবনে থাকাটা বন্দী জীবনের মতই। ইচ্ছা করলেই যেখানে খুশি সেখানে যখন তখন যেতে পারি না। আর খাবারের বিষয়টি পরিমিত খেতে পারলে আমার ভালো লাগে। খাওয়া নিয়ে আমার কোনো বাছাবাছি নেই। সবই খেতে পারি। আমি কীভাবে ভালো থাকব এ চিন্তা করে আমাকে চলতে হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নাতি-নাতনি নিয়ে যখন একটু অবসর পাই তখন তাদের নিয়ে খেলা করি। তাদের সময় দেই তাদের সঙ্গে ক্যারাম খেলি, দাবা খেলি, রান্না করি। ববির ছেলে ছোট নাতিটা কোনো কোনো সময় বলে বসে তুমি রান্না করবে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে সময় পেলে একটু ছোটা ছুটির পরই অনেক সময় লুডু-দাবা খেলার সময় তারা আবার কিছু চিটিং করে তখন খুব ভালো লাগে। এ বয়সে নাতি-নাতনি নিয়ে সময় কাটানোর চেয়ে সুখের জীবন আর নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ আমার সবচাইতে বড় শক্তি। মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসে এবং আমার বাবাকে যেভাবে ভালোবেসেছে তার প্রতিদান দেয়ার জন্যই সারাক্ষণই কাজ করি। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে সুন্দর থাকে সে কারণে আমরা জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম এবং তাতে সফল হয়েছি।’
এফএইচএস/এএইচ/এমকেএইচ