চায়ের কাপেও ভোটের ঝড়
প্রতীক বরাদ্দের পর সব দলের প্রার্থীরাই নেমেছেন প্রচরাণায়। দেশজুড়ে এখন ভোটের উৎসবমুখর প্রচারণা। চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মিছিল, মাইকিং, শোডাউনসহ ভোটারদের কাছে নিজেকে তুলে ধরা।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সর্বত্র আলোচনা শুধু জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। রাজধানীর অলি-গলির চায়ের দোকানেও নির্বাচনী ঝড় বইছে। চাকরীজীবি, ব্যবসায়ী, রিকশা চালক, আগন্তুক, দিন মজুরসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ যারাই চায়ের দোকানে বসছে তাদের মধ্যে বেশিরভাই নির্বাচনী আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রার্থীর প্রশংসা, উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরাসহ চলছে সমালোচনাও। চায়ের কাপের টুং টাং শব্দের সঙ্গে যেন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ভোটার হাওয়া।
রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন গুদারাঘাট এলাকার একটি চায়ের দোকানে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় আলোচনা করছিলেন সিদ্দিকুর রহমান নামের এক সিএনজি চালক। তার আলোচনা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন দোকানে বসে থাকে আরও তিন চারজন। তারাও সিদ্দিকুরের সঙ্গে সুর মিলাচ্ছেন। কেউ কেউ তার বিরোধীতা করে যুক্তি তুলে ধরছেন।
শুধু চায়ের দোকান নয়, হোটেল রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহন সব জায়গায় চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ।
বাড্ডার একটি চায়ের দোকনে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ভোটের হালচাল নিয়ে আলোচনা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার আলোচানায় যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় আরও কয়েকজন। চা খেতে খেতে কথা হয় হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরো দেশেই এখন ভোট আর রাজনৈতিক আলোচনা। আামদের দেশের মানুষ রাজনৈতিক বিষয়ে খুবই আগ্রহী।
চায়ের দোকানি মালেক শাহ বলেন, নির্বাচনী হাওয়া শুরুর পর চা বিক্রি বেড়ে গেছে। কারণ সবাই এসে স্টলে বসে নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা আর একের পর এক চা সিগারেট খাচ্ছে।
জানা গেছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়বেন এক হাজার ৮৪১ প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ৯৬ জন।
প্রসঙ্গত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এএস/এএইচ/জেআইএম