সাংবাদিক মারধরের কারণে ইসির কর্মকর্তা অপসারণ
সাংবাদিককে মারধর করার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপ-প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারীকে অপসারণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাকে অপসারণ করে। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, বুধবার এনআইডি ভবনে সাংবাদিক নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে সেটার প্রাথমিক তদন্ত করে উপ-প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারিকে অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওই কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অপসারণের বিষয়টি কমিশন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। ওই ঘটনায় অন্য যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ভোগান্তিতে পড়া নাগরিকদের খবর সংগ্রহের জন্য দুই সংবাদকর্মীকে বুধবার লাঞ্ছিত করে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা প্রকল্প কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত হওয়া দুই সংবাদকর্মী হলেন- চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদক জি এম মুস্তাফিজুল আলম ও ক্যামেরা ম্যান রিপু আহমেদ। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই দুই সংবাদকর্মীকে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সাংবাদিক লাঞ্ছনার ওই ঘটনার সময় এনআইডি উইং মহাপরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক মুস্তাফিজুল আলম জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিচ তলায় ক্যামেরা ম্যান রিপু নাগরিকদের ছবি নিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন তাদের দুর্ভোগের কথাও জানায়। এমন সময় সাখাওয়াত নামে একজন কর্মকর্তা আমাদের জিজ্ঞেস করতে থাকে- কার অনুমতি নিয়ে এসব হচ্ছে। আমরা এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেই তর্ক শুরু করেন এবং বলে ‘ওপরে আয়’। এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই কর্মকর্তা ক্যামেরা ম্যান রিপুকে টেনেহেঁচড়ে সাততলা নিয়ে যায়। আমিও তাদের পিছু নিই।
পরে তাদের প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারীর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ১০-১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের মারধর করা হয় বলে জানান তিনি।
# এনআইডিতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
এইচএস/আরএস/এমআরআই