আপিলেও টিকল না মির নাসিরের প্রার্থিতা
বিএনপির হেভিওয়েট নেতা চট্টগ্রাম -৫ আসনের প্রার্থী মির মোহাম্মদ নাসিরের প্রার্থিতা আপিলেও খারিজ হয়ে গেছে। মামলা সংক্রান্ত কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মির নাসিরের আপিল শুনানি শুরু হলেও পরে তারটা স্থগিত রাখা হয়। বিরতির পর শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। তবে ইসির এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। নাসির দাবি করেন, তার এ রায় পূর্বপরিকল্পিত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি চলছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। এজলাসে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত রয়েছেন।
প্রার্থিতা বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির নাসির বলেন, ‘এখানে তামাশা করা হচ্ছে। তাদের সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমারটা একেবারে রিজেক্ট করে দিয়েছে। পেন্ডিং রাখলেও তো হতো। আগেই ভেবেছিলাম এখানে এসে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে না। আমাদের মতো বাইরের লোকদের এখানে ডেকে তামশা মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। সব কিছু পূর্বপরিকল্পিত।’
চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে বিএনপির তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। অন্য দু’জন হলেন- মির মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন ও সাকিল ফারজানা। হেলাল উদ্দীনের মনোনয়নপত্রও মির নাছিরের মতো বাতিল হয়েছে। আর সাকিল ফারজানাই এ আসনে বিএনপির বৈধ প্রার্থী।
জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং কর্মকর্তারা ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। এক শতাংশ ভোটার না থাকায়, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র, লাভজনক পদে থাকার জন্য, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগে, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণে এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়।
আগামীকাল শুক্র ও শনিবারও শুনানি হবে। এ নির্বাচনে ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এবং আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ।
এইচএস/এনডিএস/পিআর