এমপি মোস্তাফিজের গৃহিণী স্ত্রী পাঁচ বছরেই কোটিপতি!

আবু আজাদ
আবু আজাদ আবু আজাদ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

২০১৪ সালে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবার সংসদ সদস্য হন মোস্তাফিজুর রহমান। আর স্বামী সাংসদ থাকার পাঁচ বছরেই কোটিপতি বনে গেছেন মোস্তাফিজের স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী। যদিও হলফনামায় লেখা হয়েছে তিনি পেশায় গৃহিণী।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও এমপি মোস্তাফিজের স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী পাঁচতলা একটি ভবনের মালিক। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ছয় লাখ টাকা, দুই লাখ টাকার স্বর্ণ ও লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তার নামে।

যদিও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর ব্যাংক হিসেবে জমা ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, নগদ রয়েছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

সে হিসেবে এমপি মোস্তাফিজের স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর নগদ অর্থের পরিমাণ কমেছে। বেড়েছে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ।

অন্যদিকে, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের বার্ষিক আয় ২০ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা হলেও তার রয়েছে বর্তমানে ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

২০১৪ সালের হলফনামায় তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় তার ব্যাংকে জমার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা । নগদ ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ১০ লাখ টাকা। ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি টয়োটা প্রাডো জিপ ও ১ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিজ নামে দেখিয়েছেন এমপি মোস্তাফিজ। ওপরের হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ছয় গুণ।

গত পাঁচ বছরে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বাড়েনি বলে দাবি সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের। আগের মতই তার নামে চার একর কৃষিজমি ও ঢাকায় তিন কাঠা জমি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান খুলে ও ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

এনএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।