ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৫
প্রতীকী ছবি

দীর্ঘ এক যুগ পর মির্জাপুরের ব্যবসায়ী আব্বাস হত্যা মামলা ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক।

বুধবার আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এই রায় প্রদান করেন। একই সাথে বিচারক প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার পৌর সদরের বাওয়ারকুমারজানি গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে জসিম, আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগম, নশকর আলীর ছেলে কালু মিয়া, কটু মিয়ার ছেলে রাইজ উদ্দিন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে জালাল ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছানোয়ার। এই মামলায় আদালতের বিচারক ধামরাই এলাকার পারভেজ ও মুক্তার নামে দুই আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ব্যবসায়ী আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা বেগমের সাথে একই গ্রামের কালু মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সাজেদা বেগম তার স্বামী আব্বাসকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আব্বাসের স্ত্রী সাজেদা, প্রেমিক কালু মিয়া ও সাজেদার ভাই জসিম মিলে ভাড়াটিয়া খুনি রাইজ উদ্দিন, জালাল ও ছানোয়ারকে নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর রাতে মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস মিয়াকে হত্যা করে বাওয়ারকুমারজানি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এই হত্যার ঘটনায় আব্বাসের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ১৮ নভেম্বর কালু ও রাইজ উদ্দিনসহ ৮ জনেক আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলহাজ লায়ন মো. শফিকুল ইসলাম রিপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এই মামলা থেকে অপর দুই আসামি দোষি প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান বলে তিনি জানান।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।