জনপ্রিয়তা পেয়েছে বরেন্দ্র এলাকায় ব্রি ধান-৪৮


প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৫

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত খরা সহিষ্ণু জাতের ব্রি ধান-৪৮ গত কয়েক বছরে বরেন্দ্র এলাকাসহ গোটা অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। সেচের পানির সংকট নিরসনের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নব উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৪৮ ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

এ এলাকায় আউশ মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিপাত ও সীমিত সেচে এই জাত থেকে সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কার্যকরভাবে কাটিয়ে উঠতে বরেন্দ্র এলাকায় বিভিন্ন জাতের উন্নয়নে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) অধীন বরেন্দ্র স্টেশন অন-ফার্ম রিসার্চ ডিভিশন (ওএফআরডি) বরেন্দ্র এলাকায় চার দফা শস্য উৎপাদন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য কৃষকদের সচেতন করে তুলতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।

বরেন্দ্র স্টেশনের টিম লিডার ড. শওকত হোসেন বলেন, আউশ-আমন এবং মসুর-মুগডাল আবাদ পদ্ধতির সফল উন্নয়নের মাধ্যমে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মাটি উর্বরতা বজায় রেখে মৌসুমী ধান চাষ ও উঁচুভূমিতে শীতকালীন শস্য আবাদে উপযুক্ত পদ্ধতির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষ করে ব্রি ধান-৪৮ উৎপাদনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য জোগাতে আধুনিক প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণে আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছি এবং এতে আগ্রহী করে তুলতে অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

খরা সহিষ্ণু জাতের উদ্ভাবনকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে ড. হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাত অবদান রাখতে শুরু করেছে।

আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।