প্রার্থিতা বাতিল হলে যা করণীয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে আজ। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতি আসনে দাখিল হওয়া মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এতে নির্বাচনে আগ্রহী কারও মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

ইসি জানায়, রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কারও মনোনয়নপত্র বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। আপিল করতে হবে ইসির কাছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে ৫ ডিসেম্বরের (বুধবার) মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। ইসি ৬-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে।

সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাইেয়র সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনপুত না হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে সাদা কাগজে আবেদনের করে তথ্য-প্রমাণসহ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দায়ের করতে হবে।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবে।

এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার মনপুত না হলে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও যদি তিনি সন্তুষ্ট না হন তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতেও যেতে পারবেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

এইচএস/বিএ/কেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।