‘এইডস নির্মূলে বেসরকারিভাবেও এগিয়ে আসতে হবে’
এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শনিবার (১ ডিসেম্বর) ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পলিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
এইডস মরণব্যাধি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে অদ্যাবধি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, এইডস নিয়ে মানুষের মাঝে এক ধরনের ভীতি ও লোকলজ্জা কাজ করে, যে কারণে এখনও বহু মানুষ নিজেদের অবস্থা তথা এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের তথ্য জানায় না।
দেশে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুণ, নিজেকে জানুন।’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে এইডসের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও মরণঘাতী এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
এফএইচএস/এএইচ/পিআর