‘নেতৃত্বের গুণে অমর আনিসুল হক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

আদর্শ নেতা একটি সমাজকে পরিবর্তন করতে পারেন। যেমনটা করছেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। যিনি তার নেতৃত্বে পরিবর্তন করেছেন ব্যবসায়ীক সংগঠন। যখন যেটা করতে চেয়েছেন যেকোনো মূল্যে সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। যার দৃষ্টান্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন। তিনি সফল মেয়রই শুধু নন। একজন ব্যবসায়ী, সংগঠক, নেতা, সমাজসেবক ও অভিভাবক সব ক্ষেত্রেই সফল। আনিসুল হক সবসময় পক্ষবিরোধী সবাইকে আপন করে কাছে টেনে নিতেন। সফলতার স্বপ্ন দেখাতেন। তার যোগ্য নেতৃত্ব, অনুপ্রেরণা ও আদর্শের কারণে মানুষের মাঝে মরেও অমর রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে এ সব কথা বলেন বক্তারা।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মীর নাসির, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, একে আজাদ, আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, ভাই সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অব.) আবু বেলাল মোহাম্মদ সফিউল হকসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভপতি মীর নাসির বলেন, ‘মানুষকে সম্মান করার একটি মহৎ গুণ ছিল আনিসুল হকের। যার কারণে তিনি সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি দেশের ক্লান্তিকালে সংগঠকের ভূমিকাও পালন করেছেন। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় দেশের প্রধান দুই দলের মহাসচিবদের আলোচনায় বসাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি থাকাকালে তিনি প্রতিটি জেলায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। যার সুফল এখনো চেম্বারগুলো পাচ্ছে।’

কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আনিসুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিহীন নির্বাচন পছন্দ করতেন না। যখনই দেখতেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তখনই কাউকে এনে প্রার্থী করে দিতেন। নির্বাচনের পর সবাইকে তিনি আবার আপন করে নিতেন। এটাই ছিল তার বড় গুণ।’

জেনারেল (অব.) আবু বেলাল মোহাম্মদ বলেন, ‘আনিস ভাই আমাদের পরিবারের সবার অভিভাবক ছিলেন। আমি মনে করতাম তার সব কথা আমি জানি। কিন্তু তার মৃত্যুর পর আমার এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। উনি যে কত বড় মানুষ ছিলেন তা আসলেই আমি জানতাম না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন এটাই আমাদের কামনা।’

এ কে আজাদ বলেন, ‘আনিসুল হকের কর্মকৌশল সব সময় ছিল অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম। সরকারি টাকা দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করার যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। সরকারের কাছ থেকে ৪০ কোটি টাকা এনে তিনি জেলার চেম্বারগুলোর উন্নয়নে ব্যয় করেছেন। যা অতীতে কেউ চিন্তাও করেনি। তিনি সব সময় বলতেন দেশের জেলা চেম্বারগুলোর উন্নতি হলে এফবিসিসিআইর উন্নতি হবে, শক্তিশালী হবে। আর এফবিসিসিআই শক্তিশালী হলে ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী হবে।’

সভায় ব্যবসায়ী নেতারা আনিসুল হকের বর্ণাঢ্য জীবন ও দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ড স্মরণ করেন।

আনিসুল হক ২০০৮-২০১০ মেয়াদকালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। এছাড়া পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদী গ্রুপের কর্ণধার আনিসুল হক। ৬৫ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এসআই/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।