নিজের জালে ফেঁসে গেলেন যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৫

নিজের জালে ফেঁসে গেলেন যুবলীগ নেতা মাহফুজুল। খোঁজ পাওয়া গেছে তার অস্ত্র ভাণ্ডারেরও। নিজের অনুসারীকে খুন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন মাহফুজসহ ও তার সহযোগীরা। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার তদন্তে এসব তথ্য পায় সিআইডি।

উদ্ধার করা হয়েছে ডোবার মধ্যে তার লুকিয়ে রাখা অস্ত্র। একইসঙ্গে উদঘাটিত হয়েছে  প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ অনুসারী  হাফেজ আহমেদকে (৫৫) হত্যার পরিকল্পনার রহস্যও।

সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে মাহফুজুলের বাড়ির পাশে ডোবায় তল্লাশি চালায় সিআইডি। এ সময় পলিথিনে মুড়িয়ে ডোবায় পানির নিচে রাখা একটি বিদেশি একে-২২, ৬টি গুলি ও ২টি ম্যাগজিন, তিনটি এলজি, তিন রাউন্ড ৭.৬৫ বোরের গুলি এবং সাত রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

মাহফুজুল সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিট যুবলীগের সহ-সভাপতি। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ড.আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভির অনুসারী বলে নিজেকে দাবি করেন।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রাত ৩টায় এওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ আহমদের বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে ওই নেতার ছেলের শ্বাশুড়ি (বেয়াইন) আনোয়ারা বেগম (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় হাফেজ আহমেদ বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলা নম্বর ১০ (০১) ২০১৫। ওই মামলার দু’জন আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাহফুজুলকে সিআইডি গ্রেফতারর করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র পরিদর্শক মোহাম্মদ ওবায়দুল হক বলেন, মাহফুজুলকে জিজ্ঞাসাবাদে ডোবার নিচে অস্ত্র রাখার কথা আমাদের বলে। তারপর তাকে নিয়ে অভিযানে গিয়ে আমরা অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছি।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ওবায়দুল হক জানান, হাফেজ আহমদের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ এলাকায় সক্রিয় আছে।  তবে ইউপি সদস্য মাহফুজুল হাফেজ আহমদের অনুসারী হিসেবেই রাজনীতি করেন।

তাহলে হাফেজ আহমদের বাড়িতে হামলায় মাহফুজুল কিভাবে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, হাফেজকে খুন করে প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম মানিককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল তারা।  

সিআইডি পরিদর্শক ওবায়দুল হক বলেন, হাফেজ আহমদ যে কক্ষে ঘুমাতেন সেই কক্ষ লক্ষ্য করেই গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।  কিন্তু সেদিন ওই কক্ষে আনোয়ারা বেগম ঘুমাচ্ছিলেন।  তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।  বেঁচে গেছেন হাফেজ।  অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক ওবায়দুল।

এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।