‘নির্বাচনী ইশতেহারে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের আহ্বান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে নারী-পুরুষের সমঅধিকারসহ সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

রোবাবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ আহ্বান জানানো হয়।

পাশাপাশি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করে নেয়ার জন্য, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু সামাজিক প্রগতি, উন্নয়ন, আদর্শবাদী চিন্তাধারার ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়ায় আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি লক্ষণীয় নয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে নারী-পুরুষের সমঅধিকারসহ সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার থাকতে হবে। দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রতিটি শাখায় ৩৩ শতাংশ নারীকে অর্ন্তভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে অধিকহারে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া এবং উক্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে জিতিয়ে আনার সার্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি এবং নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারণের প্রতিশ্রুতি সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকতে হবে।

নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের যথাযথ দায়িত্ব পালন ও কাজের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত নারী জনপ্রতিধিদের কার্যকরী ভূমিকা পালনের জন্য দায়িত্ব বণ্টন এবং বাজেট রাখতে হবে এবং তা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফওজিয়া মোসলেম, ভাইস প্রেসিডেন্ট লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী সংগঠনের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লবি পরিচালক জনা গোস্বামী প্রমুখ।

এএস/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।