মহসিন হলেই অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা


প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৫
ছবি - বিপ্লব দিক্ষিৎ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের মাঠে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ৫ জন অংশ নেয়। আর কারাগার থেকে ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রাহমানি।
 
মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
 
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৫ জন ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের মাঠে মিলিত হয়। তারা হচ্ছেন- সাদেক আলী, রমজান (সিয়াম), নাঈম, জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান।

এদের মধ্যে সাদেক আলীকে সোমবার রাতে আটক করেছে র‍্যাব। সাদেক আলী পেশায় একজন প্রকাশক। রাহমানির বই প্রাকশনার কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি রাহমানির স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তিনি।
rabসোমবার রাতে র‍্যাবের হাতে আটক হওয়া অন্যান্যরা হচ্ছেন তৌহিদূর রহমান ও আমিনুল মল্লিক। এদের মধ্যে তৌহিদুর বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৯০ সালে ব্রিটেনে গিয়ে ২১ বছর পর দেশে ফিরেন তিনি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসে আনসারুল্লাহকে অর্থ সরবরাহ করতেন তিনি। আমিনুল মল্লিক আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের দালাল। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের ভুল তথ্য দিয়ে অবৈধ পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন।
 
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মুফতি মাহমুদ খান জানান, অভিজিৎকে হত্যার আধাঘণ্টা পূর্বেই রমজান, নাঈম সহ অন্যান্যরা বই মেলায় অবস্থান নেয় এবং তাকে অনুসরণ করে টিএসসি এলাকায় আসার পর তাকে হত্যা করে। রমজান পেশায় কালোজিরা ও মধু বিক্রেতা। সে আনসারুল্লায় যোগদানের জন্য অন্যদের দাওয়াত দিত। জুলহাস ও জাফরান অভিজিতকে হত্যার পর দায় স্বীকার করে ইমেইল ও পোস্ট দিত।
 
৫ জনের এই গ্রুপটিই একইভাবে সিলেটে অনন্ত বিজয় দাস হত্যায় অংশগ্রহণ করে বলে জানায় র‍্যাব। আসামিদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ব্লগারদের হত্যার জন্য রাহমানি জেলখানা থেকে তার ছোট ভাই বাশারকে নির্দেশনা দিত। বাশার আনসারুল্লাহর সদস্যদের দিয়ে কাজ করাতো।
 
ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাশার, রমজান, নাঈম জুলহাস ও জাফরান বর্তমানে পলাতক রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাব।
 
এআর/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।