জোর করে প্রত্যাবাসন নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টায় বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৪ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, কোনো একজন রোহিঙ্গাকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। সেখানে যারা যাবেন, তারা স্বেচ্ছায় যাবেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম ব্যাচের যাওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ কখনই জোর করে ফেরত পাঠানোর পক্ষে নয়। বাংলাদেশ সবসময়ই সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। আমরা এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমারা বিশ্বাস করি যে কোনো স্থান থেকে আমাদের শুরু করতে হবে। এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঐচ্ছিকভাবে হতে হবে। তবে সেই সঙ্গে এ প্রত্যাবাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে হতে হবে।

বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কূটনৈতিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবরা ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকাস্থ বিভিন্ন মিশনের প্রধান, প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং কূটনৈতিকরা কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কূটনৈতিকদের জানানো হয়েছে। নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এটি জানানো হয়েছে।

“তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কতক্ষণ কথা বলেছেন সেই একটা তালিকা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমন্বয়ে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যে দ্বিতীয়বার কথা বলেছেন, এগুলো কূটনীতিকদের দেয়া হয়েছে। সবাই খুব সন্তুষ্ট যে এগিয়ে চলেছে। আর নয়াপল্টনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটানাটি ঘটেছে এগুলো তারা জানেন।” বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জোর করে পাঠাচ্ছে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ক্যাম্পেইন ছড়ানো হচ্ছে, বাংলাদেশ কখনই জোর করে প্রত্যাবাসনের পক্ষে নয়। ভারত ও চীন মংডুতে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। শুধু বাড়ি তৈরি করলে হবে না। সেখানে বাচ্চাদের স্কুল, হেলথ সেন্টার, ক্লিনিকও তৈরি করতে হবে। এসব কাজ এগিয়ে চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত ও চীনকে বলেছি যে রোহিঙ্গারা যেখান থেকে এসেছে, সেই সব গ্রামে এ বাড়িগুলো যাতে তৈরি করা হয়। এখন রোহিঙ্গারা যেতে চাচ্ছে না। একটি বিষয় প্রচার করা হচ্ছিল যে বাংলাদেশ সরকার নাকি জোর করে ফেরত পাঠাচ্ছে। জোর করে ফেরত পাঠানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

মাহমুদ আলী বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পের যে রোহিঙ্গা নেতা রয়েছেন, তাদের মাঝি বলা হয়। মাঝিদের একটি গ্রুপকে নিয়ে ওইখানে যাওয়া। সেখানে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা থাকবেন। এরকম একটি প্রস্তাব এসেছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। তাদেরকে গ্রামগুলোতে দেখিয়ে নিয়ে আসবে, সেখানে তাদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেপি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।