নয়াপল্টনে সংঘর্ষের তিন মামলা ডিবিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলা তিনটির তদন্ত ভার ডিবিরি কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মতিঝিল বিভাগ পুলিশ।

এর আগে বুধবার রাতেই বিস্ফোরক ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, বিশেষ আইনে এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে পল্টন থানায় মামলা তিনটি দায়ের করে পুলিশ। ২১ নম্বর মামলার বাদী হলেন পল্টন থানার এসআই সোমেন কুমার বড়ুয়া, ২২ নম্বর মামলার বাদী এসআই আল আমিন এবং ২৩ নম্বর মামলার বাদী এসআই শাহীন বাদশা।

এই তিনি মামলায় মোট ৪৮৮ জনকে এজহারে নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সহস্রাধিককে আসামি করা হয়েছে। এই তিন মামলায় এ পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলাকে ‘নগ্ন ও পৈচাশিক’ বলে উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে একটি ইস্যু তৈরি করার জন্য এ হামলা করা হয়েছে। তারা উদ্দেশ্যমূলক হামলা চালিয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং অসৎ উদ্দেশ্যে একটি ইস্যু তৈরি করার জন্য এ ধরনের নগ্ন ও পৈচাশিক হামলা করেছে। অবশ্যই তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’

bnp-1

তিনি বলেন, ‘এটি শুধু পুলিশের ওপর হামলা না। এটি বড় ধরনের একটি হামলার পূর্বপরিকল্পনা মনে হয়েছে। ঘটনা পর্যালোচনা করে ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া দেখে শনাক্তের কাজ অব্যাহত আছে।’

নিরপেক্ষভাবে সত্যতার সঙ্গে মামলাটির তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশনের চৌকস অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং তদন্তের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হামলাকারীদের বিষয়ে কমিশনার বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করেছে তাদের আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা সবাই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন দেয়ার পর আমাদের একটা এপিসিতে (আর্মড পারসনাল ক্যারিয়ার) আগুন দেয়। কিন্তু ড্রাইভারের দক্ষতার কারণে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সেই আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আমাদের ৫ জন অফিসারসহ ৩০ জন আহত হয়েছে, যারা এ মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসারত।’

দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

অন্যদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানটির নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।

জেইউ/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।