নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচনের তারিখ তিন সপ্তাহ পেছাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, জানুয়ারিতে অনেক বিষয় আছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন বসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এরপর এ বিষয়ে জানানো হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট তিন সপ্তাহের জন্য নির্বাচন পেছানোর দাবি করলেও আওয়ামী লীগ একঘণ্টার জন্যও নির্বাচন পেছানের পক্ষে নয় বলে জানায়।

এরপর সংবাদ বিফ্রিংয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রথম হলো ৩০ তারিখ (ডিসেম্বর) নির্বাচন হলে এখানে অনেকগুলো রি-ইলেকশন হতে পারে, গেজেটের ব্যাপার আছে, বিশ্ব ইজতেমার ব্যাপার আছে। যবকিছু মিলিয়ে জানুয়ারিতে করা হলে নির্বাচনটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টদায়ক হয়ে যাবে।

বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ইসি।

সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগ বলেছে, এটার বিচার করতে। আপনারা এ বিষয়ে কী করবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, পল্টনে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জন্য ইসি দুঃখ পেয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না হয়, ইসি এ ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছে। এবং বিষয়টি ওনারা (ইসি) খতিয়ে দেখবেন। আসলে ওখানে বিষয়টা কী হয়েছে এটা পুলিশ বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হবে।

আর এই ঘটনার বিচার চেয়েছে আওয়ামী লীগ, তাদের কী বলেছেন- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিইসি তাদেরও বলেছেন বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন। তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'

এমন ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন আরও জোরাল পদক্ষেপ নেবে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রশাসন নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত হয়। সুতরাং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যাস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাদের নির্দেশনা দেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে কাজ করবে।

সচিব আরও বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নফরম সংগ্রহ আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। তবে নয়াপল্টনে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেটা কেন ঘটলো তা আমরা খতিয়ে দেখবে ইসি।

তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়টি স্বাভাবিক, এটাকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলা যাবে না। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের চিত্র আমরা দেখেছি।

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন- এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন কি-না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আমরা দেখব এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন কি-না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিতরণের পরে এবং বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হলে শোডাউন না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিষয়টা এমন না। দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন এটা স্বাভাবিক বিষয়। আমরা চিঠি দিয়েছি যেন ভবিষ্যতে তারা যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন- সেখানে যেন বড় ধরনের শোডাউন না হয়।

প্রসঙ্গত, পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।

এইচএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।