নাম পরিবর্তনের সঙ্গে কাজও বাড়ছে ট্যারিফ কমিশনের
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের নাম পরিবর্তন এবং এই সংস্থার কাজের পরিধি বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৮’এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এ আইনটি ১৯৯২ সালে করা হয়, কিন্তু প্রথমে ১৯৭৩ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে টেরিফ কমিশন শুরু হয়। ১৯৯২ সালের আইনটি খুব সামান্য সংশোধনীর মাধ্যমে ২০১৮ সালের আইনটি করা হচ্ছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে নাম ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’থাকলেও নতুন আইন অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করে হবে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’।
তিনি বলেন, ‘কারণ হলো পৃথিবীর অনেক দেশেই ট্রেডটাকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ কমিশনের নাম পরিবর্তন করে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন করা হয়েছে।’
এখন ট্রেডটা অনেক বিস্তৃত জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এজন্য এখানে ট্রেডটাকে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া বিজনেস সেক্টরের প্রতিনিধিদের সমর্থন ছিল ট্রেডটা হলে ভাল হয়। এজন্য নামটাকে চেঞ্জ করা হয়েছে।’
আগের আইনের ‘ট্যারিফ কমিশন’এর স্থলে নতুন আইনে ‘ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’বসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাজের বিবরণের ক্ষেত্রে আগে চারটি উপধারা ছিল, সেখানে আরও ৯টি উপধারা সংযোজন করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘নতুন আইনে কাজের বিস্তৃতিটা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আগে এন্টি ডাম্পিং, কাউন্টার ভেইলিং- এগুলো ছিল না। এগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। সেইফটি মেজার্সগুলো নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। অর্থাৎ উন্নত বিশ্ব ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড যে ট্রেন্ডে যাচ্ছে সেই বিষয়গুলো সংযোজন করা হয়েছে, যেন আমরা তাদের ফেইস করতে পারি।’
নতুন আইনে তদন্তের পদ্ধতি আরেকটু ডিটেইল করে পদ্ধতিটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুপারিশ করে থাকে। কাজের ব্যাপ্তি বাড়াতে এর আগে গত ৪ জুন আইনের খসড়াটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ওইদিন মন্ত্রিসভা খসড়াটি অনুমোদন না দিয়ে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়।
আরএমএম/এনডিএস/আরআইপি