বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে হত্যা : মামলা পিবিআইতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৮

আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবা আকবর আলীকে (৭০) ফেলে দিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান বাস শ্রমিকরা। পরে কিছুদূর পথ পেরিয়ে রাস্তায় পাওয়া যায় জরিনা বেগম (৪৫) নামের ওই নারীর মরদেহ। এ ঘটনা তদন্ত করে আসছিল থানা পুলিশ।

আশুলিয়ায় বাবাকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বিষয়টি চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর আশুলিয়া থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়। মামলা দায়েরের পর তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা। এর আগে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতর।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের মরাগাঙ এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত নারীর বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালী এলাকায়। শুক্রবার দুপুরে জরিনা বেগম তার বাবাকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশে একটি ফাঁকা বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। বাসের চালক সেখান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর যাত্রী তোলার কথা বলে সাভারের হেমায়েতপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর আবার সেখান থেকে ফিরে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক হয়ে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে চালাতে থাকে।

এভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সঙ্গে জরিনা বেগম ও তার বাবার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাসটি আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি গেলে বাসের শ্রমিকরা বৃদ্ধ আকবর আলীকে পিটিয়ে দেহ তল্লাশি করে ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়।

এ ঘটনার পর বৃদ্ধ আকবর আলী মেয়েকে বাঁচাতে আশুলিয়া থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধারে মহাসড়ক ধরে এগিয়ে গেলে মরাগাঙ এলাকায় তার মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) তাহমিদুল ইসলাম জানান, বাস থেকে ফেলে হত্যার আগে বাবার মতো ওই নারীকেও পিটিয়েছে ঘাতক বাস শ্রমিকরা। কিন্তু টাঙ্গাইলের কোন বাসে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন তা ঠিক করে জানাতে পারছে না বৃদ্ধ আকবর আলী। এ ঘটনায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে।

জেইউ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।