জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের তথ্য জানানোর সময় বাড়ছে না
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে তা জানানোর জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। ওই সময় বাড়ানো হবে না। বিএনপিসহ অন্যান্য দলকে ১১ নভেম্বরের মধ্যেই তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান শনিবার জাগো নিউজকে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি আইনগত। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা-২০ এর (১) এর (এ) বিধান অনুসারে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনী জোট গঠন করলে, এ জোটের যেকোনো একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে। এ ধরনের প্রতীক পেতে হলে জোটকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। আরপিও-এর এ ধারার ফলে জোটবদ্ধ নির্বাচন করার তথ্য রাজনৈতিক দলগুলোকে রোববারের মধ্যেই জানাতে হবে। এর ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে।
এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে হলে তিন দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে। কোনো নিবন্ধিত দল মনোনয়ন দিলে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে ইসি। এই দলের সদস্যরা স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না কিংবা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে কি না, তা জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘তারা অন্য দলের প্রতীকে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইলে তাদের আটকানোর মতো আইন বাংলাদেশে নেই।’
আগামী ২৩ ডিসেম্বর রোববার সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। আর প্রতীক বরাদ্দ ৩০ নভেম্বর শুক্রবার।
৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের এই দিন ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর ছিল নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানায় ইসি।
এইচএস/এনএফ/এমএস