ফোনালাপ ফাঁস প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক গণ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৮

তার প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিক ঘটনা ও ফোনালাপ ফাঁস প্রসঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ৭ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন।

গতকাল গণবিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোর্তুজা আলী বাবুর সঙ্গে তার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, পিএইচএ ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট সর্বোপরি ১০৭ দেশের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্য সমাবেশে নিরাপত্তার জন্য ও বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ৫০ জনের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ করে সহযোগিতায় নিয়োজিত রাখার কথা আমি বলেছি। প্রতিষ্ঠানের ও নিজেদের নিরাপত্তার জন্যেই এটি করতে বলা হয়েছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ১৫-১৯ নভেম্বর পিএইচএ ভবনে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ বিশ্ব জনগণের স্বাস্থ্য সমাবেশে ১০৭টি দেশের প্রায় ৮০০ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ৭০০ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, বিজ্ঞানীরা যোগ দেবেন। ইতোমধ্যেই ৯৬জন বিদেশি পিএইচএ ভবনে এসেছেন। এই সমাবেশের সফলতায় সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

jafrullah

এ সময় গণস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, সরকারের দেয়া অধিগ্রহণকৃত জমি, প্রতিষ্ঠানের ক্রয়কৃত জমি, ভোগদখল করা জমির ওপর বিভিন্ন স্থাপনা, সমসাময়িক রাজনীতি, ঐক্যফ্রন্টে যোগদান, র্যাবের অভিযান, আদালত কর্তৃক মীমাংসিত সম্পত্তির বিরোধ, সরকারের ইন্ধন, প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলবাজি, তার প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি শরণার্থীদের চিকিৎসার জন্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর দেহরক্ষী হাবুল ব্যানার্জীর ত্রিপুরার মেলাঘলে আনারস বাগানে স্থাপিত হয় ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল ও অপারেশন থিয়েটার। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের নতুন নামকরণ করেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, এখানে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা, কৃষি, নারী উন্নয়ন ও দেশের পুনর্বাসন কেন্দ্রও থাকবে। তাই একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার এটিকে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে নিবন্ধিত করে। ১৯৭২ সালের ২২ নভেম্বর গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে দেয়া সব জমি আয়করমুক্ত করে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৪ সালে ৩১ দশমিক ৮৩ একর জমি হুকুম দখল করে দেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান, পুলিশের সহযোগিতায় মামলা গ্রহণ, আদালত কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়ে পুনরায় জমির দাবি, দখল ও হামলা হয়েছে।

জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।