জনশক্তি রফতানি কমলেও বেড়েছে রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

বিদেশে জনশক্তি রফতানির হার কমলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে জনশক্তি পাঠানো হয়েছে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮ জন, যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৬ হাজার ৯২৬ জন কম। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) বিদেশে জনশক্তি পাঠানো হয়েছিল ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪ জন।

অপরদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার (রেমিট্যান্স) পরিমাণ ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের শ্রেণি থেকে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করে এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতিসহ প্রবৃদ্ধির গতি ধারা অব্যাহত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয়, আমদানি-রফতানি, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় গত বছরের এক হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট রফতানির পরিমাণ ৪১ দশমিক ০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ও রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ বলেও জানান শফিউল আলম।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে কমে হয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪০ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (ইপিজেড ও নন-ইপিজেড) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি লক্ষ্যমাত্রা ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ অর্জিত হয়। অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৩১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ অর্জিত হয়।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতায় গ্রহণ করা সমাপ্তিযোগ্য ৩০০টি প্রকল্পের মধ্যে ২৭৩টি প্রকল্প শেষ হয় বলেও জানান শফিউল আলম।

আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।