দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পপার্ক গড়ে তুলছি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে, মানুষের চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যতে যাতে রফতানি বাড়ে এ জন্য শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। দেশে কোনো ভিক্ষুক থাকবে না। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারে সে ব্যবস্থা অামরা করবো।

অাজ মঙ্গলবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাভারের চামড়া শিল্প নগরী, গজারিয়ার অ্যাক্টিব ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেভিয়েন্ট (এপিঅাই) শিল্প পার্ক ও সিরাজগঞ্জের বিসিক শিল্পপার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব অাবদুর রহমান। এ সময় শিল্প মন্ত্রলালয়ে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। অামরা যেথানেই কাজ করতে যাই সেখানেই তার হাতের ছোঁয়া পাই। ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু ক্ষুদ্র কুটির শিল্প অাইন পাশ করেন। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অামরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক অাগেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতো। বিশ্বের উন্নত দেশ হতো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অামরা ১০ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। অারও অনেক কর্মসূচি অামরা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ অাজ উন্নয়নের রোল মডেল। অামরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল করছি। সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।’

শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও সভার চামড়া শিল্প এলাকার উপকার ভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসব শিল্প এলাকার বর্জ্যব্যবস্থা সুন্দর রাখা এবং পরিবেশ দূষণ যেন না হয় সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অাহ্বান জানান।

সিরাজগঞ্জে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার তাঁতশিল্প অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তাঁতীরা যাতে ভালো থাকে তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মুন্সিগঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অাগে এ অঞ্চলে যেতাম ত্রাণ নিয়ে। বন্যা হলে মুন্সিগঞ্জের মানুষ পানিতে হাবুডুবু খেত। তাদের ত্রাণ দেয়ার জন্য ছুটে যেতাম । এখন সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, যোগযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হয়েছে।’

সাভারে কথা বলার সময় ট্যানারি মালিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কসাইরা পশুর চামড়া ছাড়ানোর সময় যেন অাধুনিক ছুরি ব্যবহার করে, চামড়া যেন নষ্ট না হয় সেজন্য তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে মান সম্পন্ন চামড়া পাওয়া যাবে।

তিনি ট্যানারি শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে এবং তারা যেন সুন্দর পরিবেশে বসবাস করতে পারে সে জন্য অাবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ট্যানারি মালিকদের প্রতি অাহ্বান জানান।

এফএইচএস/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।