স্কাউটরা চেঞ্জমেকার : রাষ্ট্রপতি
নতুন প্রজন্মকে আদর্শ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পাড়া, মহল্লাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটিভিত্তিক স্কাউটিং চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউটিং কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্কাউটরা হলো চেঞ্জমেকার।
সোমবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘সমাজে স্বার্থপরতা, হিংসা, লোভ ও নৈতিকতার অবক্ষয় শিশু-কিশোরদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও প্রযুক্তির অপব্যবহারও তরুণদের বিপথে পরিচালিত করতে ভূমিকা রাখছে। এতে অনেক সম্ভাবনাময় প্রতিভা অকালে ঝরে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে তরুণদের মুক্ত রেখে তাদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. এম মোজাম্মেল হক খান এবং স্কাউটস নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট আবদুল হামিদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’কে আধুনিক বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তির ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিশু-কিশোর ও যুবদের নৈতিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, পরোপকারী ও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে একজন স্কাউট সকলের স্নেহ ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারে। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কাউটরা দুর্যোগকালীন দ্রুত সাড়াদান, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে অবদান এবং জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্যাম্প, স্যানিটেশন, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষার মতো বিভিন্ন সমাজ গঠনমূলক কাজে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর