নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৮

ভবিষ্যতে আবার ক্ষমতায় এলে নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর খিলক্ষেতে সোমবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘শেখ মুজিব’র কমিশনিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় খুলনা, চট্টগ্রাম অঞ্চলে নৌবাহিনীর জন্য ২২টি বহুতল ভবনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আধুনিক ফ্রিগেড কিনেছিলাম। নৌবাহিনীকে আরও উন্নত কীভাবে করা যায় তার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম এবং নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আমাদের ছিল।

এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত, আমি বলব এর মধ্যে নৌবাহিনী আজকে আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। নৌবাহিনীকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যদি আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি, নিশ্চয়ই নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটির যাত্রা শুরু করলো। এ ঘাঁটি নিজস্ব অপারেশনের পাশাপাশি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে এবং উপযোগী একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। একটি সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করেছিলেন। বিধ্বস্ত একটি দেশ গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে এ নৌবাহিনীও গড়ে তোলেন তিনি।’

বানৌজা শেখ মুজিবই হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশের প্রথম কোনো নৌঘাঁটি। এ নৌঘাঁটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও নৌবাহিনীর বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মসূচি, নেভাল ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং দুর্যোগের সময় হেলিকপ্টারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।

ঢাকা অঞ্চলে নৌসদর দফতর, একটি ছোট নৌঘাঁটি ব্যতীত আগে কিছু ছিল না। বানৌজা শেখ মুজিব হওয়ায় এটিই ঢাকা অঞ্চলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সশস্ত্র সালাম জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২১০০’ বইয়ের মোড়ক উন্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর খিলক্ষেতে নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ মুজিব’র কমিশনিং করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এটিকে ঢাকা অঞ্চলে প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি বলে উল্লেখ করেন।

এফএইচএস/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।