ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু


প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। মহাসড়কের দুই পাশের গাছ কাটার মধ্য দিয়ে এ কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নতীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ২৬টি সেতু এবং ৬০টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ।

আব্দুল মোনায়েম, রেজা কনস্ট্রাকশন ও মীর আকতার নামে এই তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই মহাসড়ককে চার লেন উন্নতীকরণ কাজ বাস্তবায়ন করবে বলে জানা গেছে।

মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ক্যাডেট কলেজ থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাকে ১৫টি লটে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রবি কনস্ট্রাশন নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তিনটি অংশের গাছ কাটার কাজ পেয়েছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত শুক্রবার উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী চড়পাড়া থেকে গাছ কাটার কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে ওই অংশের নতুন অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই মহাসড়কে যানজট প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে যানজটের কারণে মহাসড়ক দিয়ে ঘরে ফেরা হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ করা হলে যানজট থাকবে না বলে যানবাহনের চালকরা জানিয়েছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন উন্নীতকরণের কাজ আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানিয়েছেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কটি সার্ক হাইওয়ে করিডোর ৪, এশিয়ান হাইওয়ে ২ এবং এশিয়ান হাইওয়ে ৪১ এর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার জিকরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলন, মহাসড়কের উন্নীতকরণ কাজ শুরু করার আগে টাঙ্গাইল ডিবিশন অফিস থেকে টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসড়কের পাশ থেকে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর মাসে আব্দুল মোনায়েম, রেজা কনস্ট্রাকশন ও মীর আকতার নামে তিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০১৮ সালের মধ্যে তারা প্রকল্পের কাজ শেষ করবে বলে তিনি জানান।  

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।