মায়ার মন্ত্রিত্ব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ


প্রকাশিত: ০৫:৫৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার এমপি এবং মন্ত্রী পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটে দ্বিধা-বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিভক্ত আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চত করেছেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

ইউনুস আলী বলেন, বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কোন কর্তৃত্ববলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।  আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মায়াকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি মো.আশরাফুল কামাল রিটটি (সামারি রিজেক্ট) খারিজ করে দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রিটের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন প্রধান বিচারপতি তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দিবেন।

এর আগে গত ৭ জুলাই রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতি মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে।

এ অবস্থায় দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনও মন্ত্রী ও এমপি পদে রয়েছেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়,  সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্থলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।

এফএইচ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।