পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলায়…

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে বস্তাবন্দি নারীর গলাকাটা মরদেহের রহস্যের কিনারা মিলেছে। জাহিদ হোসেন রাজু (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতারের পর এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানান সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।

নিহত নারীর নাম সুমি ইসলাম (২৫)। তিনি খুলনার পোটপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী জাহিদ হোসেন রাজু খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সুমি সিডিএ আবাসিক এলাকায় একটি বুটিক হাউসে চাকরি করতেন। তারা ছোটপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম জানান, স্থানীয়দের খবরে গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নগরের হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার একটি নালা থেকে এক নারীর মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বামী জাহিদ হোসেন রাজুকে (৩৭) হালিশহর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আব্দুল জলিল এবং ফেরদৌসি নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘গ্রেফতারের পর রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হত্যার পর সুমির খণ্ডিত মাথা নগরের ডবলমুরিং থানার বেপারীপাড়া কবরস্থানে ঝোপের মধ্যে পলিব্যাগ মুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে সেই খণ্ডিত মস্তক উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রাজুর দেখানো স্থান থেকে সুমি হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি রাজু পুলিশকে জানিয়েছে, দেড় বছর আগে তার সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা নগরের হালিশহর থানার ছোটপুল ইসলাম হাজীর ব্রিকফিল্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী সুমি ইসলাম প্রায় সময় বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এসব ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টায় রাজু, তার প্রতিবেশী আব্দুল জলিল ও ফেরদৌসি পরিকল্পিতভাবে সুমিকে প্রথমে রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ছুরি দিয়ে শরীর থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘লাশ গোপন করার জন্য ডবলমুরিং থানার বেপারীপাড়ার পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে পলেথিনে মুড়ে খণ্ডিত মস্তকটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এবং মস্তকবিহীন দেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলাম মিয়া ব্রিকফিল্ডের নালার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়।’

এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।