১৬ দাঁতে কামড় দিতে চান ড. মিজান


প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘৩২টি না হোক, আমাদের ১৬টি দাঁত দিন যাতে সময়ে সময়ে কামড় দিতে পারি।’

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক পরামর্শক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বিতীয় পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পের (২০১৬-২০২০) ওপর এ পরামর্শক সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচারের জন্য ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ১৩ বছরের ফেলানীকে অন্যায়ভাবে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে হত্যা করে। দুইবার বিচার চেয়েও তার বাবা ন্যায়বিচার পায়নি।

মিজানুর রহমান আরো বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। এ জন্য ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি শ্রী দারমার মুরুগেসান, নেপালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি প্রকাশ চন্দ্র শর্মা অস্তি ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। তাই মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সকল মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরই রাখবো। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে যেসব শিশু হত্যা হয়েছে তা আমাদের সকলের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেছে। এসব শিশু হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। রাজন, রাকিবদের হত্যাকারীদের ধরা হয়েছে। আশা করি শিগগির তাদের বিচার হবে।

এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।