বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক সম্পর্ক খুঁজতে কমিশন হবে


প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পেছনে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে ছিল কি-না তা খুঁজতে কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

রোববার রাজধানীর টিসিবি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১২৫তম পর্বে অংশ নিয়ে এ কথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা অবশ্যই ছিল। সেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা উদঘাটনে একটি সেল গঠনের চিন্তা করতে হবে। কারণ এ বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। এসময় আলোচক প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। তারাও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, এ হত্যার পেছনে শুধুমাত্র পরাজিত শত্রুরাই ছিল না। বিদেশি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাও ছিল।

তবে দ্বিমত প্রকাশ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগের একটি অংশ বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য তাদের সঙ্গে ছিলেন। এটাই ইতিহাস, এটাই সত্য ঘটনা।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তর সালের পরাজিত শত্রুদের সঙ্গে খন্দকার মুশতাকসহ আওয়ামী লীগের কিছু লোক ছিলেন। তাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বিপথগামী একটি দল বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো জঘন্য কাজটি করেছে, যার থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন।

এটি অনুসন্ধানে কমিশন গঠন করে ফরমাল রুপ দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে কমিশন গঠনের জন্য নাগরিক কমিটির দেওয়া পরামর্শ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যে সব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু আছে সেখানে প্রধানমন্ত্রীরই ক্ষমতা থাকে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য করণীয় সবই সংবিধানে আছে। তারপরও নির্বাচনের কোনো ক্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা শুদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা যেতে পারে।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং সমস্যা আরো ঘণীভূত হবে।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টের দেওয়া ফর্মুলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে একটি সংবিধান বিদ্যমান। সংবিধানে যা যা আছে তার বাইরে কিছু বললে তা হবে অসাংবিধানিক।

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সংবিধান সংশোধনে নাগরিকদের দেওয়া প্রস্তাব দেশের মানুষের প্রস্তাব, সারা জাতির প্রস্তাব। দেশের মানুষ মনে করছেন, সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রী একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন। তার থেকে কমিয়ে ভারসাম্য করা উচিত।
রাষ্ট্রপতিকেও কিছু ক্ষমতা দেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা প্রয়োগের ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না।

আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে নোমান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যার সমাধান রাজনৈতিক দল থেকেই নিতে হবে।  ৫০ জনের সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না।

এইচএস/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।