৫ শতাংশ কোটাসহ ১১ দফা দাবি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের

‘স্বনির্ভর চলায় সাদাছড়ি নিরাপত্তার প্রতীক’ প্রতিপাদ্যে পালিত হয়েছে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস-২০১৮।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্রেস ক্লাবে ভিজ্যুয়ালি ইমপিয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে পাঁচ শতাংশ কোটা নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘আল্লাহ সকলকে মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। কাউকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন, কাউকে তা দেননি। কিন্তু সমাজে সকলের অধিকার সমানভাবে নির্ধারিত। সবলরা দুর্বলদের সহায়তা করবে এটিই জীবনের মূল্যবোধ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাদের সব দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।’

এ সময় তিনি সংগঠনকে এক লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।

সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বেসরকরি পর্যায়ে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন করা হলেও ১৯৯৬ সাল থেকে সমাজল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদফতর এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যৌথ আয়োজনে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন শুরু হয়।

তারা বলেন, দিবসটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অধিকার সুরক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সাদাছড়ি ব্যবহারে কার্যকরী কৌশল রপ্ত করে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্যের সাহায্য ছাড়াই পথ চলতে পারেন। সাদাছড়ির মাধ্যমে তার চলার পথ এবং পথের আশপাশের বস্তু ও স্থাপনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। তাই সরকারের কাছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সাদাছড়ি ব্যবহার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- উন্নতমানের সাদাছড়ি তৈরি ও উদ্যোক্তাদের সহজে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, সরকারি-বেসরকরি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সাদাছড়ি ব্যবহারকারী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে বা ন্যূনতম সরবরাহ করা, ব্যবহারে উৎসাহিত ও এর কৌশল সর্ম্পকে গণমাধ্যমে প্রচারণা। ইমারত, রাস্তা, ফুটপাত, রেলওয়ে প্লাটফর্ম, লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড, ফুটপাত ওভারব্রীজসহ সব অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বজনীন নকশা অনুসরণ ও তাদের চলাচলের উপযোগী হিসেবে তৈরি করা, প্রতিবন্ধীদের জন্য রেলের টিকেট ক্রয়ে সহজীকরণ, প্রথম শ্রেণির আসনে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধা, রেলে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের ব্যবস্থা, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের বিনা শর্তে পাঁচ শতাংশ কোটা নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

এমএইচএম/এএইচ/এমএস