ছায়ানট পাচ্ছে ভারতের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতিতে রবীন্দ্র পুরস্কার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৬ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশের ছায়ানট পাচ্ছে ভারত সরকারের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতিতে রবীন্দ্র পুরস্কার (২০১৫)। ছায়ানটকে এ সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জুরি বোর্ড।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি জানিয়েছে।

ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ছায়ানটের এই পুরস্কার প্রাপ্তি বাংলাদেশের সকল রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য একটি স্বীকৃতি।

হাইকমিশন জানায়, জুরি বোর্ড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের রবীন্দ্রচর্চার সূতিকাগার ও নেতৃস্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ২০১৫ সালের জন্য এই বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছে। এই পুরস্কারের মূল্যমান এক কোটি রুপি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে দু’জন ব্যক্তি এই সম্মাননা পেলেও ‘ছায়ানট’ প্রথম প্রতিষ্ঠান। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট কেবল রবীন্দ্র রচনা এবং বাঙালি সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও সাহিত্য প্রচারের ক্ষেত্রেই নয় বরং সারা বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ এবং ভারত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে একটি ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধনের কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।

বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ হলে ছায়ানট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সুর এবং রচনার মাধ্যমে উদার অভিব্যক্তি প্রচার করতে থাকে গোপনে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের সরকার সাংস্কৃতিক সম্প্রীতিতে রবীন্দ্র পুরস্কারটি চালু করে। সাংস্কৃতিক সংহতি, বিশ্বজনীনতা ও সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির মূল্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারত সরকার ২০১১ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।

জেপি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।