এবার উপ-সচিব হলেন ২৫৬ কর্মকর্তা
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিবের পর এবার উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দিলো সরকার। সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমমর্যাদার ২৫৬ কর্মকর্তাকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার দিনগত রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিদেশে থাকা ৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে নতুন উপ-সচিবদের পদায়ন করে আদেশ জারি করা হয়নি।
উপ-সচিব পদে পদোন্নতির মাধ্যমে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনে তিন স্তরে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো। এর আগে গত ২৯ আগস্ট ১৬৩ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৫৪ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
তবে উপ-সচিব পদে এর আগে বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় ৪২৪ জন কর্মকর্তা উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। উপ-সচিব থেকে উপরের পদগুলো সরকারের পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এবার প্রশাসন ক্যাডারের ১৮০ জন কর্মকর্তা এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপ-সচিব হয়েছেন ৬৯ জন কর্মকর্তা। অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির হার প্রায় ২৭ শতাংশ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, পদোন্নতির পর এখন উপ-সচিবের সংখ্যা হলো এক হাজার ৭৯০ জন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপ-সচিবের নিয়মিত পদ এক হাজার ৬টি।
বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ার পরও দেড় শতাধিক কর্মকর্তার বঞ্চিত হওয়া অভিযোগ উঠেছে। তারা বলছেন, সব ধরনের যোগ্যতা থাকার পরও তারা উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পাননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপ-সচিব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল বিবিএস ২৫তম ব্যাচ। এ ছাড়া এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তারাও উপ-সচিব পদে পদোন্নতির তালিকায় এসেছেন।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের অন্তত ৮৩ নম্বর পেতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনে উপ-সচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। তার উপর আবার নতুন করে পদোন্নতি দেয়া হলো। এতে প্রশাসনে আরও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অনেককেই আগের পদে (ইনসিটু) কাজ করতে হবে।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকা
আরএমএম/আরএস/এমএস